12:17 pm, Wednesday, 15 October 2025

জানা সত্ত্বেও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দিচ্ছেন ফুলপুর সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

ফুলপুর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে অন্যতম চোখ। আর সেই চোখ নিয়েই রীতিমো ছেলেখেলা করছেন ফুলপুর সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গতকাল ০৪ জানুয়ারি, রোজ শনিবার এমন ঘটনার প্রত্যেক্ষ প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাটের নিজস্ব প্রতিবেদক।

রোগিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, সবাইকে মেয়াদ উত্তীর্ণ চোখের ড্রপ দিচ্ছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। জেনে-শুনেই রোগিদেরকে মেয়াদহীন ওষুধ দিয়ে মারাত্নক ক্ষতি করে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এই সিন্ডিকেটের সাথে জরিত স্বয়ং হাসপাতাল প্রসাশন কর্পক্ষ।

রোগিদেরকে মেয়াদ উত্তীর্ণ দেওয়ায় প্রত্যেক্ষ অভিযোগের ভিত্তিতে কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে জানতে চাইলে চিকিৎসক উল্টো সাফাই গেয়ে প্রতিবেদককে জানালেন যে, আমরা জেনে-শুনেই এই ওষুধ দিচ্ছি। মেয়াদ চলে যাওয়ার পরও নাকি যে কোন ওষুধ দেওয়া যায়। এই যুক্তির পক্ষে কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতামত জানতে চাইলে চিকিৎসকগণ জানালেন এটা তাদের নিজস্ব মতামত। মেডিক্যাল সায়েন্সের মতে, কোন ওষুধ এর যদি মেয়াদ  শেষ হয়ে যায় তবে সেটা আর ওষুধ থাকে না। সেটা হয়ে যায় বিষাক্ত বিষ। যার ফলশ্রুতিতে মারাত্মক ক্ষতির সম্ভবনা খুব বেশি। আর চোখের মতো সেন্সসেটিভ অঙ্গের ক্ষেত্রে আরো ভয়ানক পরিণতির ঘটনা ঘটতে পারে। ক্ষেত্র বিশেষে সারা জীবনের জন্য অন্ধ পর্ন্ত হয়ে যেতে পারেন রোগিরা।

কর্ব্যরত চিকিৎসকের এমন কাণ্ড-জ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে জবাবদিহিতা চাওয়া হলে প্রতিবেদকের উপস্থিতিতেই সেই চিকিৎসককে কল করে জানান, ওধুদের মেয়াদ নেই, সেই ব্যাপারে জানানো হয়েছিল আপনাকে। তবু সেই ওধুধ কেন দিচ্ছেন? তবে তাদের কথা-বার্তায় স্বষ্ট করে বুঝাই গেল তিনিও এই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত।

হাসপাতাল প্রসাশন এই ব্যাপারে শক্তিশালী পদক্ষেপ নিবেন বলে জানালেও এখন পর্যন্ত নিরব দর্শকের ভূমিকাই পালন কর যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট/এমআইজে

Tag :

Write Your Comment

About Author Information

Nagorik Sangram নাগরিক সংগ্রাম

Nagorik Sangram | নাগরিক সংগ্রাম
Popular Post

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংবর্ধনায় প্রধান উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ

জানা সত্ত্বেও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দিচ্ছেন ফুলপুর সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

Update Time : 04:41:34 pm, Sunday, 5 January 2025

মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে অন্যতম চোখ। আর সেই চোখ নিয়েই রীতিমো ছেলেখেলা করছেন ফুলপুর সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গতকাল ০৪ জানুয়ারি, রোজ শনিবার এমন ঘটনার প্রত্যেক্ষ প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাটের নিজস্ব প্রতিবেদক।

রোগিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, সবাইকে মেয়াদ উত্তীর্ণ চোখের ড্রপ দিচ্ছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। জেনে-শুনেই রোগিদেরকে মেয়াদহীন ওষুধ দিয়ে মারাত্নক ক্ষতি করে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এই সিন্ডিকেটের সাথে জরিত স্বয়ং হাসপাতাল প্রসাশন কর্পক্ষ।

রোগিদেরকে মেয়াদ উত্তীর্ণ দেওয়ায় প্রত্যেক্ষ অভিযোগের ভিত্তিতে কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে জানতে চাইলে চিকিৎসক উল্টো সাফাই গেয়ে প্রতিবেদককে জানালেন যে, আমরা জেনে-শুনেই এই ওষুধ দিচ্ছি। মেয়াদ চলে যাওয়ার পরও নাকি যে কোন ওষুধ দেওয়া যায়। এই যুক্তির পক্ষে কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতামত জানতে চাইলে চিকিৎসকগণ জানালেন এটা তাদের নিজস্ব মতামত। মেডিক্যাল সায়েন্সের মতে, কোন ওষুধ এর যদি মেয়াদ  শেষ হয়ে যায় তবে সেটা আর ওষুধ থাকে না। সেটা হয়ে যায় বিষাক্ত বিষ। যার ফলশ্রুতিতে মারাত্মক ক্ষতির সম্ভবনা খুব বেশি। আর চোখের মতো সেন্সসেটিভ অঙ্গের ক্ষেত্রে আরো ভয়ানক পরিণতির ঘটনা ঘটতে পারে। ক্ষেত্র বিশেষে সারা জীবনের জন্য অন্ধ পর্ন্ত হয়ে যেতে পারেন রোগিরা।

কর্ব্যরত চিকিৎসকের এমন কাণ্ড-জ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে জবাবদিহিতা চাওয়া হলে প্রতিবেদকের উপস্থিতিতেই সেই চিকিৎসককে কল করে জানান, ওধুদের মেয়াদ নেই, সেই ব্যাপারে জানানো হয়েছিল আপনাকে। তবু সেই ওধুধ কেন দিচ্ছেন? তবে তাদের কথা-বার্তায় স্বষ্ট করে বুঝাই গেল তিনিও এই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত।

হাসপাতাল প্রসাশন এই ব্যাপারে শক্তিশালী পদক্ষেপ নিবেন বলে জানালেও এখন পর্যন্ত নিরব দর্শকের ভূমিকাই পালন কর যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট/এমআইজে