2:54 pm, Tuesday, 14 October 2025

বৃদ্ধকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা আত্মসাৎ, পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সেই নারী!

ভুক্তভোগী সেই বৃদ্ধ। ছবি: সংগৃহীত

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাহিনুর নামে ৩৫ বছর বয়সী এক নারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শনিবার (১৬ আগস্ট) বৃদ্ধ আবুল কাসেম মুন্সি ঠুটাখালী গ্রামে অনশনে বসেন, যা গ্রামজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

বৃদ্ধ কাসেম মুন্সির দাবি, দুই মাস আগে পরিচয়ের পর মাহিনুর তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রায় ৪০ হাজার টাকা নেন। পরে ভুয়া ঠিকানা দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে পালিয়ে যান। শেষমেশ মাহিনুরের আসল ঠিকানা খুঁজে বের করে কাসেম একটি শর্ত দেন—টাকা ফেরত দিতে হবে, অথবা বিয়ে করতে হবে।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, মাহিনুর আগেও একাধিক ব্যক্তিকে এভাবে প্রতারণা করেছেন। গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, তিনি ৭-৮ বার বিয়ে করেছেন এবং প্রতিবারই প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ বা সুবিধা আদায় করেছেন। ঘটনার পর থেকে মাহিনুরের বাড়িতে তালা ঝুলছে, রান্নাঘর ও আশপাশ ফাঁকা পড়ে রয়েছে।

এলাকাবাসীর দাবি, মাহিনুরের প্রতারণার জন্য পুরো এলাকার মানসম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

মঠবাড়িয়ার ইউএনও আবদুল কাইয়ূম বলেন, “আমি বিষয়টি জেনেছি। স্থানীয় থানাকে বলেছি এলাকায় পুলিশ পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিতে।”

Write Your Comment

About Author Information

Nagorik Sangram

Popular Post

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংবর্ধনায় প্রধান উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ

বৃদ্ধকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা আত্মসাৎ, পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সেই নারী!

Update Time : 12:13:32 pm, Wednesday, 20 August 2025

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাহিনুর নামে ৩৫ বছর বয়সী এক নারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শনিবার (১৬ আগস্ট) বৃদ্ধ আবুল কাসেম মুন্সি ঠুটাখালী গ্রামে অনশনে বসেন, যা গ্রামজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

বৃদ্ধ কাসেম মুন্সির দাবি, দুই মাস আগে পরিচয়ের পর মাহিনুর তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রায় ৪০ হাজার টাকা নেন। পরে ভুয়া ঠিকানা দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে পালিয়ে যান। শেষমেশ মাহিনুরের আসল ঠিকানা খুঁজে বের করে কাসেম একটি শর্ত দেন—টাকা ফেরত দিতে হবে, অথবা বিয়ে করতে হবে।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, মাহিনুর আগেও একাধিক ব্যক্তিকে এভাবে প্রতারণা করেছেন। গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, তিনি ৭-৮ বার বিয়ে করেছেন এবং প্রতিবারই প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ বা সুবিধা আদায় করেছেন। ঘটনার পর থেকে মাহিনুরের বাড়িতে তালা ঝুলছে, রান্নাঘর ও আশপাশ ফাঁকা পড়ে রয়েছে।

এলাকাবাসীর দাবি, মাহিনুরের প্রতারণার জন্য পুরো এলাকার মানসম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

মঠবাড়িয়ার ইউএনও আবদুল কাইয়ূম বলেন, “আমি বিষয়টি জেনেছি। স্থানীয় থানাকে বলেছি এলাকায় পুলিশ পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিতে।”